শহর বরিশালে হট প্লেটে গোলাপের সঙ্গে বিশ্বজিৎ 

বরিশাল শহরে নিয়ন আলো আর এসি লাগানো রেস্টুরেন্টের সংখ্যা আজকাল কম নয়। পুলিশ লাইন রোডে হট প্লেট রেস্তোরাঁ এদের মধ্যে একটা বড় নাম বলা যেতেই পারে। জুতসই আলো আর বেশ বড় সাইজের ইন্টারেস্টিং কিছু পেইন্টিংয়ে বদৌলতে এই রেস্তোরাঁয় ঢুকলে মনের মধ্যে বেশ একটা চনমনে ভাব আসে। খাসির চুঁইঝাল, কাবাব, কাচ্চি বিরিয়ানি, নানাপদের আইসক্রিমসহ খাবারের তালিকা এখানে লম্বা। ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ শনিবার দুপুরে ‘কথা বলি’র নিমন্ত্রণে হট প্লেটে বসেছিলেন বাহাউদ্দিন গোলাপ (৪৭) আর বিশ্বজিৎ সমদ্দার (৩৯)। প্রথমজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। আরেকজন জনতা ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র অফিসার। পড়ে দেখা যাক কী আলাপ করেছেন এঁরা। 

বিশ্বজিতের মধ্যে আশাবাদী স্বপ্নটাই বেশি দেখেছেন গোলাপ

প্রথমে বিশ্বজিৎ সমদ্দারকে দেখে আপনার কী মনে হয়েছিল?

নিতান্তই একজন ভদ্রলোক মনে হয়েছিল। 

কী দিয়ে আলাপ শুরু হয়?

পারস্পরিক পরিচয় নিয়ে আলাপ শুরু হয়। 

কোন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেন আপনারা?

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার একাল-সেকাল। সামাজিক অবক্ষয়, শিক্ষার পরিবেশ ইত্যাদি। 

আলাপকালে মতের মিল বা অমিল কেমন ছিল?

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সহমত ছিলাম আমরা। 

কোন দিকগুলো ভালো লেগেছে?

বিশ্বজিৎ সমদ্দারের বিনয়, সৌজন্য এবং আন্তরিকতা অনেক ভালো লেগেছে।। 

বিশ্বজিৎ সমদ্দারের কোনো কিছুতে কি বিব্রত হয়েছিলেন আপনি?

একদমই না। 

পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কী আলাপ হয়েছে?

পরিবারের সদস্যসংখ্যা, তাদের পেশাগত অবস্থান, দু-একজন বন্ধুর গল্প, তাদের বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি। 

আপনার বন্ধুদের সাথে ওনাকে কি আলাপ করাবেন?

কয়েকজনের সাথে আলাপ করাব।

আশাবাদ নাকি উল্টোটা বেশি দেখলেন? 

বিভিন্ন হতাশাজনক বিষয় থাকা সত্ত্বেও শেষমেশ আশাবাদী স্বপ্নটাই বেশি ছিল। 

মোবাইল নম্বর কি বিনিময় হয়েছে? 

হুম। বিনিময় হয়েছে। 

ফেসবুকে পরস্পর যুক্ত হয়েছেন কি?

যুক্ত হয়েছি। 

আপনাদের আবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?

নিশ্চিতভাবেই দেখা হবে আমাদের। 

বিশ্বজিৎ সমদ্দারকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করুন।

বিনয়ী, আন্তরিক, সদালাপী। 

আলাপটিকে ১০ নম্বরের মধ্যে আপনি কত দেবেন?

আমি নয় দেব। 

চাইলে আরো কিছু বলুন—

পারস্পরিক এই পরিচিতি এবং আড্ডার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

গোলাপের সৌজন্য ও প্রজ্ঞা ভালো লেগেছে বিশ্বজিতের 

প্রথমে বাহাউদ্দিন গোলাপকে দেখে আপনার কী মনে হয়েছিল?

একজন রুচিশীল ভদ্রলোক মনে হয়েছিল। 

কী দিয়ে আলাপ শুরু হয়?

পারস্পরিক পরিচয় নিয়ে আলাপ শুরু হয়। 

কোন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেন আপনারা?     

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি। বর্তমান সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক সেক্টর নিয়ে।

আলাপকালে মতের মিল বা অমিল কেমন ছিল?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহমত ছিলাম আমরা। 

কোন দিকগুলো ভালো লেগেছে?

ওনার সৌজন্য ও প্রজ্ঞা  অনেক ভালো লেগেছে। 

বাহাউদ্দিন গোলাপের কোনো কিছুতে কি বিব্রত হয়েছিলেন আপনি?

না। 

পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কী আলাপ হয়েছে?

পরিবারের সদস্য, তাদের পেশা নিয়ে কথা বলেছি। বন্ধুদের নিয়ে গল্প হয়েছে। বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া আনন্দের বিষয়গুলোর স্মৃতিচারণ করেছি। 

আপনার বন্ধুদের সাথে ওনাকে কি আলাপ করাবেন?

নিশ্চয়ই  আলাপ করাব।

আশাবাদ নাকি উল্টোটা বেশি দেখলেন? 

আশাবাদ বেশি ছিল। 

মোবাইল নম্বর কি বিনিময় হয়েছে? 

জি, বিনিময় হয়েছে। 

ফেসবুকে পরস্পর যুক্ত হয়েছেন কি?

যুক্ত হয়েছি।

আপনাদের আবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?

অবশ্যই সম্ভাবনা আছে। আমরা নিশ্চয়ই দেখা করব।  

বাহাউদ্দিন গোলাপকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করুন। [নতুন প্রশ্ন] 

প্রজ্ঞাসম্পন্ন, রুচিশীল ও আন্তরিক।  

আলাপটিকে ১০ নম্বরের মধ্যে আপনি কত দেবেন?

আট। 

চাইলে আরো কিছু বলুন— 

‘কথা বলি’তে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবার জন্য জীবনজয়ীকে ধন্যবাদ।