১০ জানুয়ারি। প্রতিদিন এর মতো আমি ঘুম থেকে উঠলাম সকাল নয়টায়। জীবনজয়ীকে সম্মতি দিয়েছি একদিন ইন্টারনেট ছাড়া থাকার। আজ সেই দিন। বিছানা থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে নাস্তা শেষ করলাম। কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকলাম । আম্মুকে একটু সময় রান্নায় সাহায্য করলাম। জুম্মার দিন। তাড়াতাড়ি গোসল শেষ করে নামাজে চলে গেলাম। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার। একটু শোয়ার ইচ্ছে হলো। শুয়ে শুয়ে ছোটকালের স্মৃতিচারণ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম। জেগে দেখি বিকেল পাঁচটা। আম্মুর বানানো চা খেলাম। সারা সন্ধ্যা ছোট ভাইয়ের সাথে গল্প করলাম। সে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প শোনাতে লাগলো। বাসার বাইরে বেরুলাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। রাত দশটা পর্যন্ত ওদের সাথে থাকি। সময়টা বেশ কাটলো। মোবাইল দেখার কথা মনে হচ্ছিলো। কিন্তু খুব যে মিস করছিলাম তা নয়।
আম্মু আজ সবার পছন্দের খাবার রান্না করেছেন। সবাই মা-বাবা আর ছোট ভাইসহ বসে রাতের খাবার খেলাম। সবাই মিলে গল্প করতে ভালো লাগছিল খুব। বুঝতে পারছিলাম যে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর আনন্দ আলাদা। ইন্টারনেটে থাকলে পরিবারের সাথে এভাবে সময় কাটানো হয় না। পরদিন অফিস। ঘুমাতে গেলাম। নেটহীন দিনটি শেষ হলো।
এটা ঠিক যে নেট না থাকার কারণে কয়েকটা কাজ শেষ করতে পারিনি। দরকারি তথ্য বা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় বেশ অস্বস্তি হয়েছে। কিন্তু একথাও সত্য যে নেট নাই বলে আমার দিনটি কিন্তু থেমে থাকেনি, বরং সেদিন জীবনের গল্প ভিন্নভাবে রচিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যা পেয়েছি তা কোনোদিন ভুলব না
কীভাবে একটি ছোট্ট গ্রাম ভারতের একটি ইউটিউব রাজধানী হয়ে উঠেছে?
মানবিক রোবট : এক নতুন যুগের সূচনা
হেলথকেয়ারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : ভবিষ্যতের আশার আলো
টইটই করে দিনরাত এক করে ঘুরে বেড়িয়েছি
জীবন থেমে থাকে না, বরং অন্যভাবে গল্প শুরু হয়
মনে হচ্ছিল আমার কোনো অঙ্গহানি হয়ে গিয়েছে
বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষন কথা বললাম
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল
দিনটায় আমি নিজেকে সময় দিতে পেরেছি
আপনি কোন সাহিত্যিকের কবিতা বা রচনা রোমান্টিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করেন?