আমার দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার বলতে স্মার্টফোন। অন্য কিছু ব্যবহার করা হয় না। এটা ছাড়া আমি একটা দিন কাটানোর কল্পনাও করিনি; মনে হতো যে এটা সম্ভব না। কিন্তু জীবনজয়ীর "নাই নেট" চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পর আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এখন মনে হয় আমি ইন্টারনেট ব্যবহার না করেও দিব্যি সুন্দর দিন কাটাতে পারি। জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত আমি এই অভিজ্ঞতা নিয়েছি। যা অনুভব করেছি লিখলাম এখানে।
সাধারণত আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোনে কয়েক মিনিট ব্যয় করে দিন শুরু করি। কিন্তু আজ ঘুম থেকে সজাগ হয়ে ফোন অফ করে রেখে দিয়ে প্রাত্যহিক কাজকর্ম শুরু করি। সারাদিন ভার্সিটিতে ক্লাস ও বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে ফোনের কথা তেমন মনে পড়ে নাই। কতগুলো সময় আছে আমি নেটেই মগ্ন থাকি। আজ একটা বই নিয়ে বসলাম। খুব একটা অসুবিধা হলো না। ফোনের টান খুব একটা অনুভব করিনি। কীভাবে যেন সময় কাটতে থাকল।
তবে ফোন বন্ধ করে রাখায় কিছুটা দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ফোনে আমাকে না পেয়ে আব্বু-আম্মু আমার পরিচিতদের একের পর এক ফোন করছেন। পরিচিতরা না পেয়ে হয়তো তারা হোস্টেলেই চলে আসবে। তারপর ফোন বন্ধ রাখার জন্য বকাবকি করবে। এসব উড়ো চিন্তা। বাস্তবে অবশ্য এসব কিছু হয়নি।
আমার মনে হয়েছে ফোনসহ নেটবিহীন দিনটায় আমি নিজেকে সময় দিতে পেরেছি। নিজের সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে কথা বলে সুন্দর একটা দিন কাটাতে পেরেছি। আমি মনে করতাম ফোন ব্যবহার করেই আমি অনেক আনন্দ পাই, খুশি থাকি। কিন্তু না, আমার মনে হয়েছে ফোনবিহীন একটি দিনও বেশ প্রোডাক্টিভ এবং আনন্দময় হতে পারে। ধন্যবাদ জীবনজয়ীকে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যা পেয়েছি তা কোনোদিন ভুলব না
কীভাবে একটি ছোট্ট গ্রাম ভারতের একটি ইউটিউব রাজধানী হয়ে উঠেছে?
মানবিক রোবট : এক নতুন যুগের সূচনা
হেলথকেয়ারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : ভবিষ্যতের আশার আলো
টইটই করে দিনরাত এক করে ঘুরে বেড়িয়েছি
জীবন থেমে থাকে না, বরং অন্যভাবে গল্প শুরু হয়
মনে হচ্ছিল আমার কোনো অঙ্গহানি হয়ে গিয়েছে
বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষন কথা বললাম
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল
দিনটায় আমি নিজেকে সময় দিতে পেরেছি
আপনি কোন সাহিত্যিকের কবিতা বা রচনা রোমান্টিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করেন?