যশোর শহরে প্যারিস রোডে, আরো সহজ করে চিনতে চাইলে বলতে হয় দুদক অফিসের উল্টোদিকে, অনেকটুকু খোলা জায়গা নিয়ে আলো ঝলমলে লাক্সারি ডাইন রেস্টুরেন্ট। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে সন্ধ্যায় ‘কথা বলি’র নিমন্ত্রণে এই রেস্টুরেন্টে আলাপে বসেছিলেন আরিফুল ইসলাম (নাহিদ) (২৩) এবং সুমাইয়া শারমিন রিমি (১৯)। দুজন দুজনের অপরিচিত হলেও বড় একটা মিলের জায়গা ছিল। দুজনই যে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী! ‘কথা বলি’ যদিও এদের খুঁজে পেয়েছিল পুরোপুরি ভিন্ন দুই সূত্রে। পৃথিবীটা ছোট বটে। রিমি ম্যানেজমেন্ট অনার্সের শুরুর দিকে। নাহিদ রসায়নে মাস্টার্সে।
রিমিকে চায়ের নিমন্ত্রণ দিয়েছেন নাহিদ
প্রথমে সুমাইয়া শারমিন রিমিকে দেখে আপনার কী মনে হয়েছিল?
হাস্যোজ্জ্বল একটি মেয়ে।
কী দিয়ে আলাপ শুরু হয়?
প্রথমত সালামের মাধ্যমে। তারপরে নামধাম, কোন ইনিস্টিটিউশনে পড়াশোনা এ বিষয়গুলো। মজার বিষয় আমরা দুজন একই প্রতিষ্ঠানের।
কোন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেন আপনারা?
যেহেতু একই প্রতিষ্ঠানের তাই ক্যাম্পাস নিয়ে কথা হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনগুলো নিয়ে কথা বলেছি। রিমির ফ্যামিলি সম্পর্কে বেশ কথা হলো। তার পছন্দের খাবার, তার ফিউচার প্ল্যান সম্পর্কে অনেক কিছু শুনলাম। আর জানলাম যে রিমি ট্রাভেল পছন্দ করে। মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করে।
আলাপকালে মতের মিল বা অমিল কেমন ছিল?
কোনো বিষয়ে মতের অমিল হয়নি। খুবই সদালাপী এবং পজিটিভ মাইন্ডের মেয়ে।
কোন দিকগুলো ভালো লেগেছে?
রিমির চিন্তা-ভাবনাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। যেমন সে মানুষের সেবা করতে পছন্দ করে। এছাড়া তার পজিটিভ চিন্তাগুলো বেশি ভালো লেগেছে।
রিমির কোনো কিছুতে কি বিব্রত হয়েছিলেন আপনি?
জি না। কোনো কিছুতে বিব্রত বোধ করিনি, বরং কথা বলে ভালো লেগেছে।
পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কি আলাপ হয়েছে?
অনেকক্ষণ তার ফ্যামিলির সকল সদস্য সম্পর্কে কথা বলেছি। রিমি তার বাবাকে খুব ভালোবাসে। তার বাবাও তাকে খুব ভালোবাসে।
আপনার বন্ধুদের সাথে ওনাকে কি আলাপ করাবেন?
অবশ্যই করাব। তাকে আমাদের চায়ের আড্ডায় নিমন্ত্রণ দিয়ে এসেছি।
আশাবাদ নাকি উল্টোটা বেশি দেখলেন?
রিমি আশাবাদী একটা মেয়ে। পজিটিভ মাইন্ডের একটা মেয়ে।
মোবাইল নম্বর কি বিনিময় হয়েছে?
অবশ্যই। কথা বলা শুরু করার কিছু সময় পর মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়।
ফেসবুকে পরস্পর যুক্ত হয়েছেন কি?
হ্যাঁ। ফেসবুকেও যুক্ত হয়েছি।
আপনাদের আবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?
অবশ্যই সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আমাদের চায়ের আড্ডায় নিমন্ত্রণ করেছি। রিমি তাদের বাসায় নিমন্ত্রণ দিয়েছে। ক্যাম্পাসে গেলে নক দেব একে অপরকে।
রিমিকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করুন।
সদালাপী, মানবিক ও সুন্দর ।
আলাপটিকে ১০ নম্বরের মধ্যে আপনি কত নম্বর দেবেন?
অবশ্যই ১০-এর মধ্যে ৯ দিতে চাই।
চাইলে আরো কিছু বলুন—
জীবনজয়ীকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেওয়ার জন্য।
নাহিদের সঙ্গে কথা বলে সময়টা ভালো কেটেছে রিমির
প্রথমে আরিফুল ইসলাম (নাহিদ)-কে দেখে আপনার কী মনে হয়েছিল?
শুরুতে তিনি একজন অপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন আমার কাছে।
কী দিয়ে আলাপ শুরু হয়?
প্রথমত সালাম বিনিময়। তারপর একে অপরের পরিচয় নেওয়া। নাম-ঠিকানা, কোথায় থাকা
হয় এসব। পড়ালেখার আলাপে দেখি আমরা দুজন একই ক্যাম্পাসের।
কোন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললেন আপনারা?
পড়াশোনার বিষয়ে। দেশের পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের জেনারেশন নিয়ে কথা হয়েছে। নতুন জেনারেশনের বাচ্চাদের কীভাবে ডেভেলপ করা উচিত, এরা কি যান্ত্রিক সমাজে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে কিনা এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি
আলাপকালে মতের মিল বা অমিল কেমন ছিল?
বেশিরভাগ সময় মতের মিল ছিল।
কোন দিকগুলো ভালো লেগেছে?
মোটামুটি সব দিকই অনেক ভালো ছিল।
আরিফুল ইসলাম (নাহিদ)-এর কোনো কিছুতে কি বিব্রত হয়েছিলেন আপনি?
নাহ। আমি কোনো রকম বিব্রত হইনি। উনি যথেষ্ট সম্মানের সাথে কথা বলেছেন। খুব মিশুকভাবে কথা হয়েছে।
পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কী আলাপ হয়েছে?
পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে কথা হয়েছে।
আপনার বন্ধুদের সাথে ওনাকে কি আলাপ করাবেন?
ইনশা আল্লাহ। ভবিষ্যতে যদি সম্ভব হয় তাহলে আলাপ করাব।
আশাবাদ নাকি উল্টোটা বেশি দেখলেন?
আশাবাদটা বেশি দেখেছি।
মোবাইল নম্বর কি বিনিময় হয়েছে?
হ্যাঁ।
ফেসবুকে পরস্পর যুক্ত হয়েছেন কি?
আলাপের দিন ফেসবুকে পরস্পর যুক্ত হওয়া হয়নি। পরে যুক্ত হয়েছি।
আপনাদের আবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?
দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নাহিদকে তিনটি শব্দে বর্ণনা করুন।
মিশুক, মনমানসিকতা ভালো, সমাজসেবক।
আলাপটিকে ১০ নম্বরের মধ্যে আপনি কত দেবেন?
দশের মধ্যে ৮ নম্বর দেব।
চাইলে আরো কিছু বলুন—
এই সাক্ষাৎটা খুবই ভালো ছিল। অনেক কথা বলেছি। সময়টা খুব ভালো কেটেছে।
রাঁধবি তুই! কিন্তু ফেসবুকে ফটো দিয়ে আমরা ক্রেডিট নেব
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যা পেয়েছি তা কোনোদিন ভুলব না
কীভাবে একটি ছোট্ট গ্রাম ভারতের একটি ইউটিউব রাজধানী হয়ে উঠেছে?
মানবিক রোবট : এক নতুন যুগের সূচনা
হেলথকেয়ারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : ভবিষ্যতের আশার আলো
জীবন থেমে থাকে না, বরং অন্যভাবে গল্প শুরু হয়
মনে হচ্ছিল আমার কোনো অঙ্গহানি হয়ে গিয়েছে
বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষন কথা বললাম
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল
দিনটায় আমি নিজেকে সময় দিতে পেরেছি
আপনি কোন সাহিত্যিকের কবিতা বা রচনা রোমান্টিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করেন?