ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও (জন্ম ১৯৩৬) যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের রাজধানী প্রভিডেন্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। ন্যায়পরায়ণতা, দয়াশীলতা, রায়দানের ক্ষেত্রে অপরাধের প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও রসবোধের মধ্য দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য তিনি বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেন। কট ইন প্রভিডেন্স নামের একটি টিভি সিরিয়ালে ক্যাপ্রিওর বিচারকার্য দেখানো শুরু হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয়তম বিচারকে পরিণত হন। ইউটিউবে তাঁর চ্যানেলটি অসংখ্য মানুষকে আকর্ষণ করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে এবিসি জার্নালে ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিওর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন র্যান্ডি মানিলফ। এই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জীবনজয়ী প্রতিবেদন।
বিচারিক বিবেচনাবোধ
জেনা বেতেজ নামের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা প্রভিডেন্স শহরের পৌর আদালতে বিচারক ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিওর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। অভিযোগ রয়েছে তার নামে রেজিস্টার করা একটি গাড়ির দুটো ট্রাফিক টিকিটের (ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জরিমানা নোটিশ) টাকা পরিশোধ করা হয়নি। জেনার সঙ্গে তার দুই শিশু সন্তান লুক এবং বেলা এসেছিল। আসলে জরিমানার টিকিটগুলো গিয়েছিল জেনার স্বামীর কাছে, যিনি কারাগারে থাকার জন্য আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। কোনো অজুহাত না দিয়ে স্বামীর কর্মের দায় নিতে জেনার আদালতে উপস্থিত হওয়ার ঘটনা বিচারক ক্যাপ্রিওকে মুগ্ধ করে। ক্যাপ্রিও তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
বিচারক ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিওর সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী Compassion in the Court: Life- Changing Stories from America’s Nicest Judge বইয়ে ওপরের ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। “আইনের ধারা অনুযায়ী আমাকে সেই টিকিটগুলোর জন্য জরিমানা আদায় করতে হতো। গাড়িটি জেনার নামে নিবন্ধিত ছিল, এটা সত্য। কিন্তু আমি এও জানতাম যে টিকিটগুলো তার ভুলের জন্য দেওয়া হয়নি। আর সেগুলো পরিশোধ করলে তার বর্তমান আর্থিক ও ব্যক্তিগত কষ্ট আরও বাড়ত। তিনি শুধু একজন ভালো মা ছিলেন না, একজন শিক্ষকও ছিলেন যিনি অনেক শিশুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারেন। জরিমানার টাকা আসলে তার সন্তান লুক এবং বেলার জন্য খরচ কমাতে বাধ্য করত জেনাকে।
ক্যাপ্রিওর অসংখ্য ট্রাফিক আদালতের মামলা অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছ যেখানে অনেক মামলার ফলাফল জেনা বেতেজের ঘটনার মতো অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তার সামাজিক মাধ্যমের ফলোয়ার ছাড়িয়েছে ২০ মিলিয়নের বেশি। তাঁর ভিডিওর ভিউ জমেছে কয়েক বিলিয়ন।
সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ৮৮ বছর বয়সী বিচারক ক্যাপ্রিও একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি ‘সহানুভূতিশীল ন্যায়বিচার’ তত্ত্বে বিশ্বাসী। আমি মনে করি প্রত্যেকের পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই আমি যখন মামলার নিষ্পত্তি করি তখন ভিন্ন ভিন্ন লোকের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প বিবেচনায় নিয়ে আসি।”
“আমার গাউনের নিচে একটি হৃদয় রয়েছে, কোনো পদের ব্যাজ নয়”, তিনি আরো যুক্ত করেন।
প্রভিডেন্স সিটির আইন কি রায় প্রদানে এতটা স্বাধীনতা দেয়? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আমার স্বতঃসিদ্ধ এখতিয়ার রয়েছে। আমি এই নীতির অধীনে কাজ করি যে এটি আমার আদালত, এবং আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি একে 'বিচারিক বিবেচনাধিকার' বলি।” তিনি আরও বলেন, “মানুষ আদালতে আসে, কিন্তু তারা অনেকেই একজন আইনজীবী নিয়োগ করার সামর্থ্য রাখে না। আমি এটাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করি না। অনেক সময় তারা সঠিক থাকে, কিন্তু বুঝতে পারে না যে আইন তাদের পক্ষে রয়েছে। আমি সেই বিষয়টি তাদের কাছে তুলে ধরি। আমি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কখনো কখনো আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবেও ভূমিকা পালন করি, কারণ আমি মনে করি এটি ন্যায়সঙ্গত। ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্য আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়।”
একবার জেফরি টার্নার নামে এক ব্যক্তি অপরিশোধিত জরিমানার কারণে বিচারক ক্যাপ্রিওর সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সী টার্নার তার জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় কাটিয়েছেন কারাগারের চার দেয়ালের ভিতর। বিচারক ক্যাপ্রিও মনে করেছিলেন যে টার্নার তার জীবন পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন, এবং এই জরিমানাগুলো তার পথের বাধা হতে পারে। তাই তিনি অভিযোগগুলো খারিজ করে দেন।
এরকম পরিস্থিতিতে ক্যাপ্রিও প্রায়ই একই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার বইয়ে এর ব্যাখ্যা দেন এভাবে, “অনেক সময়, কারাবন্দি থাকার কারণে জরিমানা ও ট্রাফিক টিকিটের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যখন তারা মুক্তি পায়, তখন এমন এক আর্থিক বোঝার মুখে পড়ে, যা তারা পরিশোধ করতে পারে না। অনাদায়ী জরিমানার কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত হয়ে যায়, ফলে তারা চাকরি খোঁজার এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ হারায়। আমাদের সবার মঙ্গলের জন্য এসব বাধা যতটা সম্ভব দূর করা প্রয়োজন।”
সামাজিক মাধ্যমে ২০ কোটি ফলোয়ারের নেপথ্যে
বিচারক ক্যাপ্রিওর বিশাল সামাজিক মাধ্যমের উপস্থিতি মূলত শুরু হয় প্রভিডেন্স সিটির আদালতে তার বিচারিক কার্যক্রম টেলিভিশনে প্রচারের অনুমতি পাওয়ার পর। তার ভাই জো ক্যাপ্রিও ভিডিওগ্রাফিতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। যখন ক্যাবল টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমিউনিটি অ্যাক্সেস প্রোগ্রামিং চালানোর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়, তখন জো এই সুযোগ গ্রহণ করেন এবং প্রতিদিন দুই ঘণ্টার সম্প্রচারের অনুমতি পান। জো’র প্রতিদিন অনেক কনটেন্টের প্রয়োজন ছিল। তখন বিচারক ক্যাপ্রিওর স্ত্রী জয়েস জো’কে একটি পরামর্শ দেন, “তুমি কেন তোমার ভাইয়ের আদালত কক্ষের কার্যক্রম রেকর্ড করছ না? সেখানে তো প্রচুর ঘটনা ঘটে।”
১৯৯৮ সালে আদালতের সেই কার্যক্রম ‘Caught in Providence’ নামে একটি অনুষ্ঠানে রূপ নেয়, যা বিচারক ক্যাপ্রিওর অবসর গ্রহণ পর্যন্ত (২০২৩) পাবলিক অ্যাক্সেস টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। এক্ষেত্রে কার্যক্রম ভিডিও করার ক্ষেত্রে আসামিদের সম্মতি নেওয়া হতো। একপর্যায়ে, শহরের ABC অ্যাফিলিয়েট চ্যানেল এই অনুষ্ঠানটি গ্রহণ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো একটি পাবলিক অ্যাক্সেস শোকে নেটওয়ার্ক অ্যাফিলিয়েট চ্যানেলে নিয়ে যায়। এরপর এটি জাতীয়ভাবে ২০০টি স্টেশনে সম্প্রচারিত হয়।
অপরদিকে সামাজিক মাধ্যমও বিকশিত হচ্ছিল। ক্যাপ্রিওর ন্যায়বিচারের ধরন দ্রুত সেখানে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। তার শো চারবার ‘Daytime Emmy Award’-এ মনোনীত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্যাপ্রিওর জরিমানা মাফের উদারতা কিন্তু প্রভিডেন্স শহরের কোষাগারে ঘাটতি তৈরি করেনি। একদিন তিনি ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এক নিয়মিত দর্শকের কাছ থেকে একটি চিঠি পান। সেই নারী ছিলেন একজন সিঙ্গেল মাদার, যিনি সুপারমার্কেটে ন্যূনতম মজুরিতে কাজ করতেন। তবুও তিনি ২০ ডলারের একটি চেক পাঠান এবং অনুরোধ করেন যেন এই অর্থ কারও প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয়। ক্যাপ্রিও আদালতের বেঞ্চে বসেই সেই মহিলার দেওয়া চিঠিটি পড়ে শোনান, যা পরে টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এরপর শুরু হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডোনেশন আসা। এর মধ্যে চীন থেকে পাঠানো তিনটি ১ ডলারের নোটও ছিল। ক্যাপ্রিও এই অর্থ আদালতের তহবিলে জমা করেন এবং তার মায়ের নামে এর নাম রাখেন ‘ফিলোমেনা ফান্ড’। কখনো কখনো কোনো অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার পর, তিনি সেই জরিমানার অর্থ এই ফান্ড থেকে পরিশোধ করতেন।
নতুন একটি বিচারিক দর্শনের জন্ম
ক্যাপ্রিওর ‘সহানুভূতিশীল ন্যায়বিচার’ কোথা থেকে এসেছে তার উত্তর তাঁরই লিখিত বইয়ের প্রথম ভাগেই পাওয়া যায়। বইয়ের প্রথম অংশের শিরোনাম হচ্ছে “আমার পরিবারই আমাকে আজকের আমি হিসেবে গড়ে তুলেছে।” ১৯০০ সালের শুরুর দিকে, ক্যাপ্রিওর দাদা-দাদি ইতালি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রভিডেন্সে বসবাস শুরু করেন। ১০ সন্তানসহ তারা ফেডারেল হিলের একটি ভাড়াটিয়া অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন, যা শহরের ইতালীয় এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ক্যাপ্রিওর বাবা একসময় ঠেলাগাড়িতে ফল বিক্রি করতেন, পরে তিনি একজন দুধ বিক্রেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন।
ছোটবেলায় ক্যাপ্রিও ভোরবেলা জেগে বাবাকে দুধ সরবরাহে সাহায্য করতেন। দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হওয়া এবং অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বেড়ে ওঠার কারণে তার সামনে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে তিনি সহজেই একাত্মতা অনুভব করতেন। তিনি বুঝতে পারতেন তারা কঠোর পরিশ্রমী, পরিবারপ্রেমী এবং তাদের সন্তানদের জন্য আরও ভালো ভবিষ্যতের সন্ধানে আমেরিকায় এসেছেন যেমনটি তার দাদা-দাদি করেছিলেন।
এর মধ্যে একটি পারিবারিক ঘটনা ক্যাপ্রিওর জীবনে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তার দাদা একবার বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপানের সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন, এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার দাদি ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন—কারণ যদি তার স্বামী কারাগারে চলে যান, তাহলে তাদের ১০ সন্তানকে নিয়ে তিনি কীভাবে জীবন চালাবেন? তিনি ভাঙা ইংরেজিতে আদালতে গিয়ে বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন যেন তার স্বামীকে কারাগারে পাঠানো না হয়। বিচারক তার কথা শুনে বলেন, “তিনি একজন ভালো মানুষ, যিনি কঠোর পরিশ্রম করে তার পরিবারকে চালান।” এরপর, বিচারক তাকে মুক্তি দেন এবং ক্যাপ্রিওর দাদিকে বলেন, “আপনি বাড়ি ফিরে যান এবং স্বামীর জন্য একটা ভালো খাবার রান্না করুন।”
অনেক অনেক বছর পর ক্যাপ্রিও একই আদালতে বিচারক হিসেবে শপথ নেন। অনুভূতি বর্ণনা করতে তিনি লেখেন, “আমি যখন বিচারকের আসনে বসতাম এবং আমার সামনে কোনো অভিযুক্তকে দেখতাম—বিশেষ করে কোনো অভিবাসী যার চোখে ফুটে থাকত ভয় ও অনিশ্চয়তা—তখন আমি সেখানে আমার দাদা এবং দাদিকেই দেখতাম।”
ক্যাপ্রিও প্রথমে প্রভিডেন্স কলেজে ভর্তি হন। এরপর বস্টনের ‘সাফোক ইউনিভার্সিটি ল স্কুল’-এর নাইট প্রোগ্রামে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তিনি দিনে হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার আইনি কর্মজীবন শুরু হয় প্রাইভেট প্র্যাকটিসের মাধ্যমে। এরপর তিনি প্রভিডেন্স সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সাল তিনি বিচারকের আসনে বসেন এবং প্রায় চার দশক ধরে বিচারকার্য চালিয়ে যান।
টেলিভিশনে কোর্টরুম-ভিত্তিক অনেক অনুষ্ঠান থাকলেও ক্যাপ্রিও তার অনুষ্ঠানকে সে তালিকায় ফেলতে রাজি নন। তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “আমরা কোনো ‘কোর্টরুম শো’ নেই। আমরা বাস্তবেই এই আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো স্টুডিও-ভিত্তিক অনুষ্ঠান নই, যেখানে মামলার পক্ষগুলোকে আগে থেকেই বাছাই করা হয়, তাদের উপস্থিতির জন্য টাকা দেওয়া হয়, এবং আগেই নির্ধারিত থাকে সেখানে কী ঘটবে। আমাদের এখানে আমি জানি না আদালতে কারা আসবে, আমি জানি না আমি কী সিদ্ধান্ত নেব। এটি সম্পূর্ণ বাস্তব জীবন।”
রাঁধবি তুই! কিন্তু ফেসবুকে ফটো দিয়ে আমরা ক্রেডিট নেব
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যা পেয়েছি তা কোনোদিন ভুলব না
কীভাবে একটি ছোট্ট গ্রাম ভারতের একটি ইউটিউব রাজধানী হয়ে উঠেছে?
মানবিক রোবট : এক নতুন যুগের সূচনা
হেলথকেয়ারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : ভবিষ্যতের আশার আলো
জীবন থেমে থাকে না, বরং অন্যভাবে গল্প শুরু হয়
মনে হচ্ছিল আমার কোনো অঙ্গহানি হয়ে গিয়েছে
বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষন কথা বললাম
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল
দিনটায় আমি নিজেকে সময় দিতে পেরেছি
আপনি কোন সাহিত্যিকের কবিতা বা রচনা রোমান্টিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করেন?